সাধারণ কাঁটা-ছেড়া বা স্ট্রোক,প্রয়োজন প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬ সময়ঃ ১২:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:০৮ অপরাহ্ণ

হাত পুড়ে যাওয়া, পা মচকে যাওয়া বা ফ্র্যাকচার। এই ধরনের ঘটনা তো হামেশাই ঘটে। তবে বেশির ভাগ সময়ই আমরা ঘাবড়ে যাই। আর তাতেই সমস্যা আরও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই সব সমস্যারই রয়েছে ফার্স্ট এইড। যেগুলো শিখে রাখলে কাটা-ছেঁড়া, পোড়া, ভাঙা থেকে শুরু করে স্ট্রোক, এপিলেপ্সির মতো বড় সমস্যাও সামলে উঠতে পারবেন।

burnপোড়া হাত ঠান্ডা জলের তলায় ধরে থাকুন ১৫ মিনিট। পাতলা কাপড় বা প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে আলতো করে বেঁধে রাখুন ক্ষত স্থান।

chokingগলায় কিছু আটকে দমবন্ধ হয়ে আসলে , আক্রান্ত ব্যক্তির পিছনে গিয়ে দাঁড়ান। দুই কাঁধের হাড়ের মাঝখানে ৫ বার থাবড়ান।রিব কেজের নীচ থেকে জড়িয়ে ধরে ভিতর দিকে ও উপর দিকে চাপ দিন। এতে গলায় আটকে থাকা বস্তু বেরিয়ে যাবে।

stroke স্ট্রোকহলে মাথায় রাখুন ৪টে জিনিস। যাকে বলা হয় FAST বা ফাস্ট। ফেস ড্রুপিং, আর্ম উইকনেস, স্পিচ ডিফিকাল্টি ও টাইম।

মুখের পাশের দিকে কি কোনও দুর্বলতা লক্ষ্য করছেন?(ফেস ড্রুপিং), দু’হতাই তুলতে পারছেন কি?(আর্ম ইমমোবিলাইজ), কথা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে?(স্পিচ ইমপেয়ারড), উপরের যে কোনও একটা হলেই হাসপাতালে নিয়ে যান(টাইম)।

epilepsyএপিলেপ্সি,মাথায় যাতে আঘাত না লাগে তার জন্য কাপড় বা কম্বল জড়িয়ে দিন।
মাথা এক পাশ করে পিছনে হেলিয়ে শুইয়ে দিন। মুখে কিছু দেবেন না।

no-heartbeatহঠাৎ কারও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গেলে রোগীকে শুইয়ে বুকের মাঝে মাসাজ করুন। মাথা পিছন দিকে হেলিয়ে থুতনি টেনে ধরে মুখ হাঁ করুন।নাক চিপে ধরে মখের কাছে নিয়ে গিয়ে মাউথ টু মাউথ ব্রিদিং করুন। আবার চেস্টা মাসাজ করুন।

যদি ভেঙে গিয়ে পা বা হাত বেঁকে থাকে তাহলে নিজে থেকে সোজা করার চেষ্টা করবেন না।
ব্যান্ডেজ করে রাখুন যাতে ভাঙা হাত বা পা বেশি নাড়াচাড়া না হয়। কিছু সময় অন্তর আইস প্যাক লাগান। এতে ফোলা কমবে, ব্যথা কমবে।

পা মচকে গেলে,প্রথমেই পা কোথাও আমারদায়ক ভাবে সাপোর্ট দিয়ে রাখুন। প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর আইস প্যাক লাগান।
মচকে যাওয়া পা ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। পা ঝুলিয়ে না রেখে উঁচু কোথাও তুলে রাখুন সব সময়। এতে ফোলা কমবে।

 

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন

 

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G